সৌন্দর্যের লীলাভূমি ওমানের জাবাল ইত্তিন পাহাড়


মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম নৈসর্গিক আর সৌন্দর্যের লীলাভূমি ওমানের ধোফার প্রদেশ সালালাহ। সবুজের সমারোহ সালালাহর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে জাবাল ইত্তিন বা নবী হযরত আইয়ুব (আ.) এর পাহাড়। এর চূড়ায় রয়েছে আইয়ুব নবীর রওজা মোবারক। এখানে প্রতিদিন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক আসেন ভ্রমণ ও জিয়ারতের জন্য। বাদ যায়না বাংলাদেশিরাও।
ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে প্রায় এগারশো কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এই সালালাহ। আর এই শহর থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমেই অবস্থিত জেবলে ইতিন বা হযরত আইয়ুব আ. এর পাহাড় ও মাজার। আঁকাবাঁকা সড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার ঢালু স্থান পেরিয়ে গাড়িতে করে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে দেখা যায় সাদা মেঘ আর কুয়াশার চাদরে ঘেরা পাহাড়ে শত শত গাড়ি আর হাজারো প্রবাসী পর্যটক।
পাহাড়ের মাঝামাঝিতে এর কোল ঘেঁষে রয়েছে নবী আইয়ুব (আ.) এই সেই ঐতিহাসিক কূপ বা ঝর্ণা। আল্লাহর নির্দেশে যেই কূপে গোসল করে তিনি রোগ থেকে মুক্তি লাভ করেছিলেন। হাজার বছর ধরে একই গতিতে জলের ধারা বয়ে চলেছে এ কূপে। এর স্বচ্ছ পানি পান করতে ও গোসল করতে অসংখ্য পর্যটক এখানে আসেন। আবার অনেকে বরকতময় হিসেবে এখান থেকে পানি নিয়েও যান।
আইয়ুব (আ) এর মাজারসংলগ্ন হাজার বছরের পুরনো একটি মসজিদ রয়েছে। যেটি তৎকালীন সময়ে মুসলমানদের কেবলা বাইতুল মোকাদ্দাসের দিকে মেহরাব করা রয়েছে। এখান থেকেই তিনি ইবাদত করতেন। পাশেই রয়েছে হযরত আইয়ুব (আ.) এর পদচিহ্ন। যা আজও সুরক্ষিত রয়েছে।
এছাড়াও একাধিক সাহাবীদের কবর, ইসলামের বহু নিদর্শনের স্থান এই সালালাহ অঞ্চলে। এই সালালাতেই রয়েছে ঐতিহাসিক সেই লোবান গাছ, যা বিশ্বের দামী সুগন্ধির মধ্যে একটি। এই লোবানকে স্বর্ণের চেয়েও দামী পণ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। একইসাথে কথিত সাদ্দাতের বেহেস্ত, সাম যাদুকরের বাড়ি ও নবী সুলাইমান আঃ এর স্ত্রী রাণী বিলকিশ এর সেই ৬০ হাজার বছরের পুরনো সামহারাম শহরও দেখতে পাবেন এই অঞ্চলে। একইসাথে দেখতে পাবেন সাগর পাড়ে নবী ইউনুস আ: কে মাছের পেট থেকে যেখানে বের করে রেখেছিলেন সেই ঐতিহাসিক স্থান।
আরো পড়ুন:
প্রথমবারের মতো মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে
ওমানে ৩ দিন যাবত নিখোঁজ এক নারী, সন্ধান চায় পুলিশ
দেশের পাসপোর্ট অফিসে সার্ভার জটিলতা, দুর্ভোগে হাজারো প্রবাসী
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ঢাকা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ব্যাহত
আমিরাতে অভিবাসন আইনের বড় সংস্কার, দক্ষ পেশাজীবীদের জন্য সুবর্ণ
