রাতের খাবারের সময় কখন, ইসলাম কি বলে!


কাজের চাপ বা আলসেমির কারণে হোক, অনেকে রাতের খাবার দেরি করে খান। আর এটি কিন্তু শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। রাতে খাবার দেরি করে খেলে গ্যাস তৈরি হওয়া, ঘুমের সমস্যা, ওজন বাড়ে একইসঙ্গে ডায়াবেটিস ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুকিও বেড়ে যায়। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।

পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির পেরেলমান স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকরা দেখেছেন, রাতে দেরিতে খাওয়ার কারণে গ্লুকোজ ও ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। গবেষকরা বলছেন, ,অসময়ে খাবার গ্রহণ কোলেস্টরালের মাত্রায়ও প্রভাব ফেলে, যা হার্ট অ্যাটাকের জন্য ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে কখনও কখনও হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।
চিকিৎসাবিদ ও পুষ্টিবিদদের মতে, সাধারণত রাতের খাবার রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে খেয়ে ফেলতে বলা হয়। যদি সেটি করা না যায়, তবে অবশ্যই সাড়ে ৯টার মধ্যে খাওয়া শেষ করতে হবে। আর এর পর কিছু খেতে চাইলে বা ঘুমানোর আগে খেতে চাইলে দুধ বা দই খেতে পারেন। তবে প্রধান খাবারটা সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে শেষ করতে হবে। রাতের খাবার ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে খেলে তা শরীরের জন্য ভালো। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে ও শরীর ভালো থাকবে।
ইসলামের সঙ্গে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে একমত পুষণ করেছেন। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রাতের আহার ত্যাগ কোরো না, যদিও তা এক মুঠো খেজুরও হয়। কারণ রাতের আহার ত্যাগ মানুষকে বৃদ্ধ করে দেয়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, রাতের খাবার গ্রহণ না করার অর্থ হলো, শরীরে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হওয়া। বিশেষ করে মাইক্রো-নিউটিশিয়ানের ঘাটতি। আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন যে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যখন এশার নামাজের ইকামত দেওয়া হয় এবং অপরদিকে রাতের খাবারও পরিবেশন করা হয়, তাহলে তোমরা আগে আহার করে নেবে। এসব হাদিস ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষ্য আমাদের সামনে স্পষ্ট করে দেয় যে রাতের খাবার অবশ্যই সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাতের সূচনার পরপরই সেরে নেওয়া অধিকতর।
আরো পড়ুন:
কুরআনের একটি আয়াত বদলে দিলো জাপানি বিজ্ঞানীর জীবন
মালয়েশিয়ায় প্রবাসীকে অপহরণ: বরগুনা থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ১
প্রবাসীদের জন্য সুখবর দিল ওমানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
সৌন্দর্যের লীলাভূমি ওমানের জাবাল ইত্তিন পাহাড়
