বিমানে মৃত্যু হলে যা করা হয়


‘প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ শুধু কোরআনেই নয়, সব ধর্ম গ্রন্থেই মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। এই মৃত্যু কার কখন কোথায় হবে, তা আমরা কেউ জানি না। মৃত্যু আরামের বিছানায়, বাসাবাড়ি, যানবাহনে কিংবা আকাশপথেও হতে পারে। যদি উড়োজাহাজে ভ্রমণের সময় কারো মৃত্যু হয়, তখন ফ্লাইটের মধ্যে ক্রুরা কী করেন? চলুন জেনে নিই, কিছু জরুরি তথ্য। যদি ফ্লাইটটি মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় কোনো যাত্রী গুরুতর অসুস্থ হন এবং ফ্লাইটের ক্রুরা বুঝতে পারেন যে, ওই যাত্রীকে বাঁচানো কোনোভাবেই আর সম্ভব নয়, সেক্ষেত্রে ফ্লাইটটি ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং না করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যায়।

ক্রুদের একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যেন উড়োজাহাজে কেউ অসুস্থ হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারেন। আর বিমানবন্দরগুলোতেও একটি মেডিকেল টিম ২৪ ঘণ্টা দায়িত্বে থাকেন যেন ক্রুরা যোগাযোগ করতে পারেন। তাই ক্রুদের প্রথম কাজ এমন পরিস্থিতিতে মেডিকেল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা। যদি মাঝ আকাশে কারো মৃত্যু হয়, সেক্ষেত্রে ক্রুরা মরদেহটি অন্য যাত্রীদের থেকে আলাদা জায়গায় সরিয়ে নেয়। কারণ, মরদেহটি দেখলে অন্য যাত্রীরা ভয় পেতে পারেন। যদি মরদেহটি অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত জায়গা না থাকে, তবে মরদেহটিকে তাঁর সিটেই শুইয়ে দেওয়া হয় এবং সিটের ওই মরদেহটির ওপর একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।
মাঝ আকাশে শুধু যাত্রীদেরই মৃত্যু হয়না, বিমানের পাইলটও মারা যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে মাঝ আকাশে কোনো কারণে পাইলটের মৃত্যু হলে তাঁর পাশে থাকা পাইলট সঙ্গে সঙ্গে বিমানটি চালানোর দায়িত্ব নিয়ে নেন। তারপর বিষয়টি কন্ট্রোলরুমে জানান এবং জরুরী ল্যান্ডিং করানো হয়। তবে, বর্তমানে সিঙ্গাপুরের কিছু উড়োজাহাজে মরদেহ রাখার জন্য একটি বিশেষ কম্পার্টমেন্ট বানানো হচ্ছে। কেউ মারা গেলে মরদেহটি সেখানে রাখা হয়।
আরো পড়ুন:
প্রবাসীদের বেতন নিয়ে পালিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাইফুল
বিশ্বকাপ ঘিরে জমজমাট বাংলাদেশীদের ট্যুরিজম ব্যবসা
সংকটেও সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে যে জেলায়
শ্বশুরের মৃত্যু, শোক সইতে না পেরে না ফেরার দেশে ওমান প্রবাসীর স্ত্রী
