ওমান প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ ঘোষণা


মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম বাংলাদেশের শ্রমিক নির্ভর দেশ ওমান। যে দেশটিতে প্রায় ৭লাখের অধিক বাংলাদেশী প্রবাসী নানা পেশায় কর্মরত রয়েছেন। সেইসাথে উল্লেখ সংখ্যক বাংলাদেশী ব্যবসায়ীও রয়েছেন দেশটিতে। এইসব প্রবাসীদের সুখ দুঃখ, সমস্যা ও সম্ভাবনা মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন ওমানের বেশকিছু বাংলাদেশী মিডিয়াকর্মী, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে মোঃ বাইজিদ আল-হাসানের। যিনি দীর্ঘ ৪বছর যাবত ওমান প্রবাসীদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে কাজ করেছেন।
হাসান ইতিপূর্বে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট চ্যানেল এটিএন বাংলা, এরপর দেশের এক নাম্বার সংবাদ ভিত্তিক চ্যানেল সময় টিভি সহ নিউজ২৪, বাংলা টিভি, দৈনিক আমাদের সময় ও জাগো নিউজে অসংখ্য সংবাদ করেছেন ওমান প্রবাসীদের নিয়ে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার ও দূতাবাসের গঠনমূলক সমালোচনা করায় ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন একাধিকবার। সেইসাথে খুব অল্প সময়ে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন ওমানের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে। অপরদিকে ওমানে কিছু প্রবাসী অপরাধীদের নিয়ে ধারাবাহিক ক্রাইম নিউজ করার কারণে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সহ মৃত্যুর হুমকিও এসেছে একাধিকবার।
এরপরেও তিনি ওমান প্রবাসীদের নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিপূর্বে তিনি কিছু দিনের জন্য ডিজিটাল খবর নামে একটি অনলাইন পোর্টালের এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সময়ে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজ (যা ইতিপূর্বে এটিএন বাংলা ওমান নামে পরিচিত ছিলো ওমানে) “এটিএম বাংলা ওমান” এর নাম পরিবর্তন করে ডিজিটাল খবর নাম দেওয়া হয়। এরপর গত রমজানের প্রথম দিকে তিনি ডিজিটাল খবর থেকে চলে এসে দেশের প্রথম সারির বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এবং দেশের বিশিষ্ট কিছু ব্যক্তি নিয়ে নিজেই প্রবাস টাইম নামে সম্পূর্ণ আলাদা একটা মিডিয়া প্লাটফর্ম তৈরি করেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, তিনি ডিজিটাল খবর থেকে চলে আসলেও তার পূর্বের সেই ফেসবুক পেইজের নাম পরিবর্তন করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফেসবুকের কিছু নিয়ম নীতির কারণে নাম পরিবর্তনের অপশনটি আপাতত বন্ধ রয়েছে ডিজিটাল খবর নামে (পূর্বের এটিএম বাংলা ওমান) ফেসবুক পেইজের। যে পেইজটিতে দেড়লাখের মতো শুধুমাত্র ওমানেরই ফলোয়ার রয়েছে।
যেহেতু তিনি দীর্ঘদিন ডিজিটাল খবরের দায়িত্বে ছিলেন এবং তার মাধ্যমে ওমানে অল্প দিনেই বেশ পরিচিতি লাভ করে ডিজিটাল খবর। সুতরাং তিনি এখন উক্ত প্রতিষ্ঠানে না থাকলেও ওমান প্রবাসীরা তা এতদিন জানেননি। যে কারনে ডিজিটাল খবর কোনো ভুল সংবাদ প্রচার করলে তা সম্পূর্ণ সাংবাদিক হাসানের উপরে অনেকেই দায়ভার চাপিয়ে দেন এবং ডিজিটাল খবরের দায়ভার প্রবাস টাইমের উপর চাপিয়ে দেন।
ওমান প্রবাসীদের এই বিভ্রান্তি নিরসনে সাংবাদিক হাসান বলেন, “আমি দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়াতে কাজ করেছি, সেই হিসেবে ডিজিটাল খবরের সাথেও কাজ করেছি, যেহেতু এখন নিজস্ব একটি মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, সুতরাং এখন আর অন্যকোনো মিডিয়াতে কাজ করার ইচ্ছে নাই। সেইসাথে ওমান প্রবাসীদের উদ্দেশে আমি বলবো, আপনারা আমাকে দীর্ঘদিন যাবত চিনেন, আমি যতদিন যে মিডিয়াতে কাজ করেছি, ততদিন দায়িত্ব নিয়ে শতভাগ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করেছি। গত রমজানের প্রথম দিক থেকে আমি ডিজিটাল খবর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি, এরপর থেকে ডিজিটাল খবরের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই। কিন্তু তারা আমার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে মাঝেমধ্যেই ওমান নিয়ে ভুল ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করে আসছে, যার খেসারত আমাকে দিতে হয়।
আরও পড়ুনঃ গণহারে ওমান ছাড়ছে ভারতীয়রা
এমতাবস্থায় আমি ওমানের সকল প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করছি, ডিজিটাল খবর এটা বর্তমানে ওমান রিলেটেড কোনো সংবাদ মাধ্যম না এবং এর সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততাও নাই। সুতরাং আপনারা এখন থেকে আমার সকল নিউজ শুধুমাত্র প্রবাস টাইমের মাধ্যমেই পাবেন। সেইসাথে আমার পূর্বের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজের নামটি চেঞ্জ করতে একটু সময় নিচ্ছে ফেসবুকের কিছু নিয়মের কারণে, তাই বিভ্রান্তি এড়াতে উক্ত Digitalkhobor ফেসবুক পেইজের প্রোফাইল ও কভার ফটোতে প্রবাস টাইমের লোগো দেওয়া হইলো এবং ইউজার নেম ও চেঞ্জ করে ProbashTime1 দেওয়া হইলো।
নিম্নে প্রবাস টাইমের অফিসিয়াল ২টা ফেসবুক পেইজের লিংক দেওয়া হইলো, এ ২টা পেইজ ব্যতীত বাকি যত প্রবাস টাইম নামে পেইজ আছে সব ফেইক পেইজ।

https://www.facebook.com/ProbashTime1/

https://www.facebook.com/ProbashTime2/
আরও দেখুনঃ প্রবাস টাইম ও সাংবাদিক হাসান নিয়ে ওমানের রাষ্ট্রদূত যা বললেন
