ওমানে ফের বিধিনিষেধ আরোপ শুরু


মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে কাবু গোটা ওমান। দিনদিন বেড়েই চলছে নতুন আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। এরই মাঝে মঙ্গলবার (১৫-জুন) ভয়াবহ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ৩ জন রোগী শনাক্ত হওয়ায় আতংক বেড়েছে কয়েকগুণ। করোনা নিয়ন্ত্রণে গোটা দেশেই নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। দেশটিতে ফের শুরু হয়েছে বিধিনিষেধ আরোপ।

আজ থেকে করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি প্রতিরোধে দেশটির টেইলারিং দোকান এবং কারখানাগুলিতে বেশ কয়েকটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা পালন করা নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কমিটি। নিম্নে উল্লেখিত শর্ত গুলো যথাযথভাবে না মানলে মোটা অংকের জরিমানা সহ আইনের মুখোমুখি হতে হবে ব্যবসায়ীদের। সুপ্রিম কমিটির নতুন আরোপিত বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে:-
১. দেশটির সকল দর্জির দোকানে তাপমাত্রা পরীক্ষার মেশিন থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একইসাথে দোকানে কর্মরত সকল কর্মীদের প্রতিদিন তাপমাত্রা মাপার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২. দোকানে সঠিক বায়ু চলাচল নিশ্চিত করতে হবে, শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সকল কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
৩. সকল দোকানে অবশ্যই হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। দোকানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, সকলকে মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৪. দোকানে শ্রমিকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম রাখা বাধ্যতামূলক।দোকানে কোনো গ্রাহকদের খাবার সরবরাহ করতে পারবেন না। শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে দোকানে প্রবেশের অনুমতি পাবেন না।
৫. গ্রাহকদের সকল তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। যেমন: আইডি, ফোন নম্বর এবং বসবাসের স্থান।
৬. অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দিলে তাকে দোকানে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।
৭. দোকানে অপেক্ষমাণ গ্রাহক রাখা যাবে না।
৮. ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী বা ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের দোকানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৯. দোকানে বাতাস চলাচলের জন্য যতটা সম্ভব দরজা খোলা রাখতে হবে।
১০. কেবলমাত্র একজন গ্রাহক দোকানে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। দোকানে পর্যাপ্ত জায়গা থাকলে শ্রমিক এবং গ্রাহকের মধ্যে দুই মিটার দূরত্ব রাখতে হবে।
১১. শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য অবশ্যই হ্যান্ড থার্মোমিটার ব্যবহার করতে হবে।
১২. দোকান ব্যতীত অন্য জায়গায় সেলাইয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।
১৩. গ্রাহকদের সুবিধার্থে আনা সংবাদপত্র এবং ম্যাগাজিন বন্ধ করতে হবে।
১৪. গ্রাহকের সামনে তার পণ্য স্প্রে দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
